Header Ads

Header ADS

Potatoes Prevention of fungal diseases.আলু চাষে ছত্রাক জনীত রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। আলুর লেটব্লাইট রোগের প্রতিরোধ।

আলু চাষে ছত্রাক জনীত রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা।









উন্নত আলু উৎপাদন প্রযুক্তিঃ

মাটিঃ 

আলু চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি হলো বেলে দোয়াশ  ও দোয়াশ মাটি। এই মাটিতে আলু চাষ করলে আলুর ফলন অনেক ভালো হয়।

বপনের সময়ঃ

সাধারণত উত্তরাঞ্চলে মধ্য-কার্তিক (নভেম্বর প্রথম সপ্তাহ) এবং  দক্ষিণাঞ্চলে অগ্রহায়ণ ১ম সপ্তাহ থেকে ২য় সপ্তাহ (নভেম্বর মধ্য থেকে শেষ সপ্তাহ)  আলুর বীজ বপনের উত্তম সময়। আপনি যদি সঠিক সময়ে আলুর বীজ বপন করতে পারেন তাহলে খুব ভালো ফলন ঘরে তুলিতে পারবেন।

বীজের হারঃ 

আমাদের আলু বীজ সঠিক ভাবে বীজের হার অনুযায়ী রোপন করতে হবে।চলুন দেখে নেই। প্রতি হেক্টর ১.৫ টন।

রোপন দূরত্বঃ

রোপণের দূরত্ব ৬০*১৫ সেমি কাটা আলু।


আলু চাষে সারের মাত্রা:

  1. ইউরিয়া:১.৩২-১.৪২ কেজি/শতক
  2. টিএসপি:০.৮১-০.৮৯ কেজি/শতক
  3. এমপি:০.৮৯-১.০১ কেজি/শতক
  4. জিপসাম:০.৪০-০.৪৯ কেজি/শতক
  5. জিংক সালফেট:০.০৩২-০.০৪০ কেজি/শতক
  6. বোরন:০.০২৪-০.০৩২ কেজি/শতক
  7. গোবর:৪১ কেজি/শতক

সার প্রয়োগ পদ্ধতি ঃ



এখন আমরা জানব, আলুর জমিতে সুষম সার প্রয়োগ পদ্ধতি । চলুন চট করে জেনে নেই।
প্রথমেই গোবর, অর্ধেক ইউরিয়া , টিএসপি, এমপি , জিপসাম ও জিংক সালফেট ( যদি প্রয়োজন হয়) রোপনের সময় জমিতে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি ইউরিয়া সার রোপনের ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর অর্থাৎ ২য় বার মাটি তোলার সময় সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটিতে যদি এসিডের পরিমাণ বেশি হয় , তাহলে বেলে মাটির জন্য ৮০- ১০০ কেজি / হেক্টর ম্যাগনেশিয়াম সালফেট করতে হবে। এবং বেলে মাটির জন্য বোরন ৮-১০ কেজি / হেক্টর প্রয়োগ করলে ভাল ফলন উৎপাদন করা সম্ভব।

পানি সেচ ব্যবস্থাঃ

প্রথম সেচঃ

বীজ আলু রোপনের ২০-২৫ দিনের মধ্যে প্রথম সেচ দিতে হবে( স্টোলন বের হওয়ার সময়)।

দ্বিতীয় সেচঃ

আলু রোপনের ৪০-৪৫ ‍দিনের মধ্যে সেচ দিতে হবে (শুটি বের হওয়া পর্যন্ত) ।

তৃতীয় সেচঃ 

আলুর বীজ বপনের ৬০- ৬৫ ‍ ‍দিনের মধ্যে (শুটির বৃদ্ধি পায়) সেচ দিতে হবে।বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বেশি ফলন পেতে হলে ৮-১০ দিন পর সেচ দিতে হবে।আমরা যদি আলু চাষে সঠিক পানি সেচের ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে খুব সহজেই আমরা বেষি ফলন পেতে পারি। বেশি ফলন পেতে অবশ্যই সঠিক সেচ ব্যবস্থা করব।



অন্তবর্তীকালীন পরিচর্যাঃ

আলু রোপনের ৩০-৩৫ ‍দিন পর গোড়ায় মাটি দেওয়া খুবই প্রয়োজন।এর ফলে গাছগুলো অনেক সুস্থ্য থাকবে।


এখন আমরা জানব , আলুর লেট ব্লাইট রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ।

আলুর মড়ক বা নাবী ধ্বসা  (লেইট বস্নাইট) রোগ সাধারনত ,ফাইটপথোরা ইনফেসটেনস নামক ছত্রাকের আক্রমণে হয়ে থাকে ।এই রোগের লক্ষন - প্রথমে পাতা , ডগা ও কান্ডে ছোট দাগ পড়ে । 

তারপর দাগ বড় ও সমগ্র পাতা , ডগা ও কান্ডের কিছু অংশ ঘিরে ফেলে । এই রোগের আক্রমনের ফলে  এবংবাতাসে আপেক্ষিকআদ্রতা বেশি থাকায় ২-৩ দিনের মধ্যে পুরো জমি আক্রান্ত হয়ে পড়ে।আক্রান্ত জমিতে পোড়া গন্ধ পাওয়া যায়।




প্রতিরোধ:

লেট ব্ল্যাইট থেকে বাঁচতে হলে নিয়মিত ছত্রাকজনিত ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। এবং  15 দিন পর পর ছত্রাকজনিত ওষধ  প্রয়োগ করতে হবে। চারা যখন দশ সেন্টিমিটার লম্বা হবে তখনই প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে। প্রতিকারের জন্য নিয়মিত নিমোক্ত  ওষধ প্রয়োগ করতে হবে।


ঔষধের নাম:

  1. ইনডোফিল
  2. ডাইথেন এম 45





See the more topic:
আরো কিছু জানতে চাইলে সাথে থাকুন:

১.আলু চাষে সঠিক সারের মাত্রা।আলু চাষের সঠিক সার ব্যবস্থাপনা

২.Potatoes prevantation of fungal deasess.আলু চাষে ছত্রাকজনিত রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা।

2 comments:

Theme images by Jason Morrow. Powered by Blogger.