Header Ads

Header ADS

ই- পাসপোর্ট করার ফি। ই -পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২২? ই-পাসপোর্ট আবেদন করার পদ্ধতি? ই- পাসপোর্ট করার ফি। ই -পাসপোর্ট করতে কত দিন লাগে?

ই-পাসপোর্ট করার ফি। ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?



বন্ধুগন আশা করি , ভালো আছেন । আপনারা অনেকেই বিদেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট করে থাকেন। কেউ হয়ত পড়াশুনার জন্য বা কেউ কাজ, ব্যবসা এবং চাকরী করার জন্য । দেশের বাইরে যেতে হলেই আমাদের প্রয়োজন একটি অতিপ্রয়োজনীয় পাসপোর্ট । পূর্বে আমাদের দেশে প্রচলিত ছিল এমআরপি পাসপোর্ট । বর্তমানে আমাদের দেশে চালু হয়েছে ই-পাসপোর্ট । আমরা বেশিরভাগ জনগনই জানিনা ই-পাসপোর্ট কিভাবে করতে হয়? কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় , কত টাকা প্রয়োজন হয়, কত দিন সময় লাগে ইত্যাদি বিষয়। চলুন জেনে নিব এখনই এসব খুটিনাটি বিষয়াদি  । 

আপনার ই-পাসপোর্টে 5টি ধাপ:

আপনি 5টি সহজ ধাপে নতুন ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন।

ধাপ 1: নতুন ই-পাসপোর্ট আপনার এলাকায় ইতিমধ্যে উপলব্ধ কিনা তা পরীক্ষা করুন ।

<<< এক নজরে দেখে নিন পাসপোর্ট অফিসের তালিকা। >>>

ধাপ 2: আপনার ই-পাসপোর্ট আবেদন অনলাইনে পূরণ করুন। 

ধাপ 3: পাসপোর্ট ফি প্রদান করুন।

পাসপোর্ট ফি এবং ব্যাঙ্কের তালিকারঃ

১. ওয়ান ব্যাংক

২. প্রিমিয়ার ব্যাংক

৩. সোনালী ব্যাংক

৪. ট্রাস্ট ব্যাংক

৫. ব্যাংক এশিয়া  এবং 

৬.  ঢাকা ব্যাংকে নির্ধারিত ফি জমা দেওয়া যাবে । 

ধাপ 4: বায়োমেট্রিক তালিকাভুক্তির জন্য আপনার পাসপোর্ট অফিসে যান।
আপনি যখন পাসপোর্ট অফিসে যাবেন, তখন আপনার কাছে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথিপত্র রয়েছে তা নিশ্চিত করতে হবে । 

পাসপোর্ট অফিসে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যেতে হবে :

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

২। সনাক্তকরণ নথির প্রিন্ট কপি (জাতীয় পরিচয় পত্র/ জন্ম নিবন্ধন নং)

৩। পেমেন্ট স্লিপ 

৪। পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এবং ডাটা পেজের প্রিন্ট কপি (যদি থাকে) 

৫। সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে  GO/NOC (যদি থাকে) 

৬। তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র(যদি থাকে)

৭। আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি  

#এক নজরে দেখে নিন পাসপোর্ট অফিসের তালিকা।

ধাপ 5: 

১। আবেদনপত্রের সারংশের প্রিন্ট কপি (অ্যাপয়েন্টমেন্ট সহ)

২। অনুমোদিত প্রতিনিধিরা (তার/তার NID কার্ড আনতে হবে) আবেদনকারীর নতুন পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারেন।

৩। পাসপোর্ট তালিকাভুক্তির সময় আপনি প্রাপ্ত ডেলিভারি স্লিপ

৪। পাসপোর্ট অফিসে আপনার ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন।

ই পাসপোর্ট ফি এবং ই-পাসপোর্ট পেতে কত দিন লাগে?

48 পৃষ্ঠার এবং পাঁচ বছরের মেয়াদ সহ পাসপোর্ট-

      *21 দিনের মধ্যে নিয়মিত বিতরণ: 4,025 টাকা

      *এক্সপ্রেস ডেলিভারি 10 দিনের মধ্যে: ৬,৩২৫ টাকা

      *২দিনের মধ্যে সুপার এক্সপ্রেস বিতরণ: ৮,৬২৫ টাকা

48 পৃষ্ঠা এবং 10 বছরের মেয়াদ সহ পাসপোর্ট-

  • 21 দিনের মধ্যে নিয়মিত বিতরণ: ৫,৭৫০ টাকা
  • এক্সপ্রেস ডেলিভারি 10 দিনের মধ্যে: ৮,০৫০ টাকা
  • ২দিনের মধ্যে সুপার এক্সপ্রেস বিতরণ 10 হাজার 350 টাকা
64 পৃষ্ঠা এবং ৫  বছরের মেয়াদ সহ পাসপোর্ট-
  1. 21 দিনের মধ্যেই নিয়মিত বিতরণ 6,325 টাকা
  2. এক্সপ্রেস ডেলিভারি 10 দিনের মধ্যে 8,625 টাকা
  3. 2 দিনের মধ্যে নিয়মিত সুপার এক্সপ্রেস বিতরণ 12,075 ঢাকা
64 পৃষ্ঠা এবং 10 বছর মেয়াদ সহ পাসপোর্ট-
  • 21 দিনের মধ্যে নির্মিত বিতরণ:৪,০৫০ টাকা
  • এক্সপ্রেস ডেলিভারি 10 দিনের মধ্যে 10 হাজার 350 টাকা
  • দুই দিনের মধ্যে সুপার এক্সপ্রেস বিতরণ 13 হাজার 800 টাকা

আরো কিছু জানতে চাইলে সাথে থাকুন:

১.মৌজা বলতে কি বোঝায়?২.মৌজা ম্যাপ বলতে কি বুঝায়? মৌজা ম্যাপ কি?৩.খতিয়ান নম্বর কি?What is the Ledger number?

এখন আমরা জানব,ই-পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশাবলী:


১। ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করা যাবে।

২। ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না।

৩। ই-পাসপোর্ট ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না।

৪। জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) অনুযায়ী আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে।

৫। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী যার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নাই, তার পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

৬। জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) নিম্নোক্ত বয়স অনুসারে দাখিল করতে হবে-

(ক) ১৮ বছরের নিম্নে হলে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version).

(খ) ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) 

(গ) ২০ বছরের উর্ধে হলে জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক । তবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) গ্রহণযোগ্য হবে।

৭। তারকা চিহ্নিত ক্রমিক নম্বরগুলো অবশ্যই পূরণীয়।

৮। দত্তক/অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনের সাথে সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত আদেশ দাখিল করতে হবে।

৯। আবেদন বর্তমান ঠিকানা সংশ্লিষ্ঠ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস/আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস/বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে দাখিল করতে হবে।

১০। ১৮ বছরের নিম্নের এবং ৬৫ বছরের ‍উর্ধ্বে সকল আবেদনে ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ০৫ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার।

১১। প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদসমূহ (যেমন: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি) আপলোড/সংযোজন করতে হবে।

১২। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক জিও (GO)/এনওসি (NOC)/ প্রত্যয়নপত্র/ অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (PRL Order)/ পেনশন বই আপলোড/সংযোজন করতে হবে যা ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজ নিজ Website এ আপলোড থাকতে হবে। 

১৩। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সনদ/নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা দাখিল করতে হবে।

১৪। দেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ফি এর উপর নির্ধারিত হারে ভ্যাট (VAT) সহ অন্যান্য চার্জ (যদি থাকে) অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হবে। বিদেশে আবেদনের ক্ষেত্রেও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদেয় হবে।

১৫। কূটনৈতিক পাসপোর্টের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও ওয়েলফেয়ার উইং (Consular and Welfare Wing) অথবা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় বরাবর আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।

১৬। বৈদেশিক মিশন হতে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হলে স্থায়ী ঠিকানার কলামে বাংলাদেশের যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।

১৭। অতি জরুরী পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে (নতুন ইস্যু) নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ পূর্বক আবশ্যিকভাবে আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে।

১৮। (ক) দেশের অভ্যন্তরে অতি জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ২ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।

(খ) দেশের অভ্যন্তরে জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।

(গ) দেশের অভ্যন্তরে রেগুলার পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।

১৯। আবেদনের সময় মূল জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID), অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সনদ, সরকারি আদেশ (GO)/অনাপত্তি (NOC) প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।

২০। পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে।

২১। হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মূল জিডির কপি প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।

২২। ০৬ বছর বয়সের নিম্নের আবেদনের ক্ষেত্রে ৩ আর (3R Size) সাইজের ( ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রউন্ড ) ছবি দাখিল করতে হবে।

২৩। পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় জিডি করতে হবে।
পুনরায় পাসপোর্টের জন্য আবেদনের সময় পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি এবং জিডি কপিসহ আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে ।

আরো কিছু জানতে চাইলে সাথে থাকুন:

১.মৌজা বলতে কি বোঝায়?

২.মৌজা ম্যাপ বলতে কি বুঝায়? মৌজা ম্যাপ কি?

৩.খতিয়ান নম্বর কি?What is the Ledger number?

৪.খতিয়ান এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা।

৫.জরিপ (survey)। সিএস জরিপ। আর এস জরিপ। এস এ জরিপ।

৬.পর্চা। পর্চা বলতে কী বোঝায়?

৭.সম্পত্তির প্রকারভেদ। সম্পত্তির ধরন। বিভিন্ন প্রকার সম্পত্তি।

৮.জরিপ। জরিপ কি? জরিপ বলতে কি বুঝায়? জরিপের সাধারণ জ্ঞান।

৯.দাগ বলতে কি বোঝায়?দাগ কি?ভূমি জরিপে দাগ বলতে কি বোঝায়?

১০.বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিসের তালিকা।


Follow me:

1.Facebook:https://www.facebook.com/mdnahid456?_rdc=1&_rdr

2.Youtube:https://www.youtube.com/channel/UC87O_kSJomKCJtWnYAjFu9Q/featured


            
(Source-Internet): *www.epassport.gov.bd*

No comments

Theme images by Jason Morrow. Powered by Blogger.