সিএস, এস এ , আরএস ও বিএস খতিয়ান কি ? খতিয়ান চেনার উপায় ?
খতিয়ান চেনার উপায় ?
আপনি যদি , ভূমি জরিপের খুটিনাটি বিষয়গুলো না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্ট টি আপনার জন্য । আপনি সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন । আপনাকে মুক্ত শিক্ষার দুনিয়ায় স্বাগতম । এখন চলে আসি মুল আলোচনায় ।
আপনি যদি , খতিয়ান বিষয়ে ভালোভাবে বুঝতে চান তাহলে ক্ষুদ্র থেকে শুরু করতে হবে ।
এই পোস্টটির মাধ্যমে যা জানতে পারবেন -
১. দাগ নাম্বার কি ?
২. মৌজা কি?
৩. মৌজা ম্যাপ কি ?
৪. খতিয়ান কি?
৫. খতিয়ান কত প্রকার ও কি কি ?
৬. খতিয়ান চেনার উপায় ?
তাহলে , আর অপেক্ষা কিসের এখনই শুরু করা যাক !
১. দাগ নাম্বার কি ?
আমাদের জমিগুলা অনেক গুলো ভাগে বিভক্ত থাকে । এক এক খন্ড এক এক ব্যক্তির নামে থাকে । জমি গুলোকে চিনার জন্য আলাদাভাবে ইউনিক নাম্বার প্রদার করা হয়। আর যখন জরিপ ম্যাপ তৈরি করা হয় , তখন মেীজা নকশায় ভূমির সীমানা চিহ্নিত বা সনাক্ত করার জন্য প্রতিটি ভূমি খন্ডকে েইউৃনিক নাম্বার প্রদান করা হয়। আর এই নাম্বারকে দাগ নাম্বার বলে। আশা করি , আপনি বুঝতে পেরেছেন । আরো বিস্তারিত দাগ নাম্বার সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন ।
<<< দাগ নাম্বার কি ?>>>
২. মৌজা কি?
সাধারনত এক বা একাধিক দাগ নিয়ে একটি মৌজা গঠিত হয় । ধরি, হড়িনা গ্রামকে ভূমির ভাষায় মৌজা বলে। হড়িনা গ্রাম হয়ে গেল মৌজা আর এই মুহূর্তে কিছু জমির খন্ডে ভাগ করে প্রতিটি খন্ডের একটি নম্বর দেয়া হল। সে নম্বরকে দাগ বলে তাহলে সহজ কথায় বলা যায় কিছু দাগ নিয়ে একটি মৌজা গঠিত হয়।মৌজাকে ভূমি জরিপের একক বলা হয়।
৩. মৌজা ম্যাপ কি ?
আমরা সকলেই জানি,পৃথিবীর একটি ম্যাপ আছে। ঠিক তেমনি বাংলাদেশেরও একটি ম্যাপ আছে। সেভাবে হড়িনা গ্রামেরও আরো একটি ম্যাপ আছে। হড়িনা মৌজার ম্যাপ/নকশাকে মৌজা ম্যাপ বলে। এই ম্যাপে প্রতিটি খন্ডের উপর সেই দাগ নম্বর লেখা থাকে।
৪. খতিয়ান কি?
জরিপ বিভাগ কর্তৃক সরেজমিনে গিয়ে জমির মালিকানা বিবরন ও নকশা তৈরি করে জমির যে রেকর্ড প্রকাশ করা হয় , তাকে সাধারণত খতিয়ান বলে । আর, যে অ্যাকাউন্ট নম্বর হতে জমির মালিক, জমির দাগ নম্বর, জমির পরিমাণ, জমির শ্রেণী ,জমির মালিকের কতটুকু জমি আছে ইত্যাদি জানা যায় তাকে খতিয়ান নম্বর /খতিয়ান বলে।
৫. খতিয়ান কত প্রকার ও কি কি ?
আশা করি , আপনি টপিকগুলো পড়ে বিরক্তবোধ করছেন না । অবশ্যই আপনি কিছু না কিছু শিখতে পেরেছেন । নিম্নে খতিয়ানের প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো :
১. এসএ খতিয়ান
২.আরএস খতিয়ান
৩.বিএস খতিয়ান
৪. সিটি খতিয়ান
৫.সিএস খতিয়ান
৬.দিয়ারা খতিয়ান
এগুলো হলো বাংলাদেশে প্রচলিত খতিয়ানসমূহ ।
৬. খতিয়ান চেনার উপায় ?
সিএস খতিয়ান
ক্যাড অ্যাস্ট্রাল সার্ভেকে "CS" (CS) হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এটা দাবি করা হয় যে এই সমীক্ষা, যা 1888 (মিনিস্ট্রি অফ ল্যান্ডস আনসার 1887) এবং 1940 সালের মধ্যে পরিচালিত হয়েছিল, ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম তৈরি হয়েছিল।
সিএস খতিয়ান চেনার উপায়?
১. সিএস খতিয়ান সাধারনত দুই পৃষ্টার হয়ে থাকে । অর্থাৎ উভয় পৃষ্টার হয়ে থাকে ।
২. এই খতিয়ানটি উপরোক্ত ছবির মতো লম্বালম্বি হবে । সাধারণত এটিকে লিগেল সাইজের পেপারও বলা হয়ে থাকে ।
৩. এই খতিয়ানের প্রথম পৃষ্টায় জমিদার ও প্রজার নাম থাকবে ।
৪. অপর পৃষ্টায় “ উত্তর সীমানা “ নামে একটি কলাম থাকবে ।
১৯৪০ সালের পূর্বে জমিদারি প্রথা ছিল । তখন জমিগুলো জমিদারের আওতাভুক্ত ছিল এবং জমিদারদের যে প্রজা ছিল তার নামও খতিয়ানে উল্ল্যেখ করা থাকবে ।
আরএস খতিয়ান
সিএস জরিপ সাধারণত ১৮৮৮ সাল থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত কায্রক্রম পরিচালিত হয় ।সিএস জরিপের 50 বছর পর আরেকটি জরিপ অনুষ্ঠিত হয়। এই জরিপটি রিভিশনাল সার্ভে নামে পরিচিত এবং এই জরিপ থেকে তৈরি খতিয়ান আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত।
আর এস চিনতে হলে আমাদের নিম্নের দিকনির্দেশা অনুকরণ করতে হবে ।
১. সাধারণত আর এস খতিয়ান এক পাতা অথবা দুই পাতা হয়ে থাকে এবং হাতে লেখা থাকে ।
২. আর এস খতিয়ান লম্ভা-লম্ভি হয়ে থাকে ।
৩. “ রেসার্ভে নং” আর এস খতিয়ানের উপরের ডান পাশে লেখা থাকবে ।
বিএস খতিয়ান/বিআরএস খতিয়ান
SA খতিয়ান
SA খতিয়ান খতিয়ানটি রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন 1950-এর অধীনে প্রস্তুত করা হয়েছিল। আসলে এটি একটি ব্যবহারিক জরিপ নয় বা এটি মাঠ জরিপের উপর ভিত্তি করে নয়। জমিদার বা জমিদারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই খতিয়ান করা হতো। এসএ খতিয়ান মানে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ খতিয়ান বা সেটেলমেন্ট অ্যাটেস্টেশন। এটি পিএস খতিয়ান বা পাকিস্তান সার্ভে খতিয়ান নামেও পরিচিত।
SA খতিয়ান চেনার উপায় ঃ
1. এস এ খতিয়ান এক পৃষ্টার হয়ে থাকে ।
2. এই খতিয়ানটি আড়াআড়ি হবে ।
3. খতিয়ানটির ডানপাশে সাবেক খতিয়ান সিএস এবং হাল নম্বর থাকবে ।
4. রেঃ সার্ভে বা রে; সা ; নং লেখা থাকবে না ।
সিটি জরিপ
দিয়ারা জরিপ
নদীবহুল এলাকায় যখন কোনো চর বা নতুন ভূমি জেগে উঠে তখন দিয়ারা জরিপ পরিচালিত হয় ।এটি অনেক পুরনো জরিপ । সিএস সার্ভে শুরু হয় ১৮৮৮ সালে , অন্যদিকে দিয়ারা জরিপ শুরু হয় ১৮৬২ সালে । দিয়ারা জরিপে সাধারন জরিপের জন্য প্রযোজ্য সকল স্তর অনুসরণ করে পয়স্তি ভূমির ( চর ) নকশা ও রেকর্ড প্রস্তুত করা হয় ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য ।
আরো কিছু জানতে চাইলে সাথে থাকুন:
২.মৌজা ম্যাপ বলতে কি বুঝায়? মৌজা ম্যাপ কি?
৩.খতিয়ান নম্বর কি?What is the Ledger number?
৪.খতিয়ান এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা।
৫.জরিপ (survey)। সিএস জরিপ। আর এস জরিপ। এস এ জরিপ।
৬.পর্চা। পর্চা বলতে কী বোঝায়?
৭.সম্পত্তির প্রকারভেদ। সম্পত্তির ধরন। বিভিন্ন প্রকার সম্পত্তি।
৮.জরিপ। জরিপ কি? জরিপ বলতে কি বুঝায়? জরিপের সাধারণ জ্ঞান।
৯.দাগ বলতে কি বোঝায়?দাগ কি?ভূমি জরিপে দাগ বলতে কি বোঝায়?
ধন্যবাদ আপনাকে সাথে থাকার জন্য ।
💔FOR ANY HELP PLEASE JOIN:
https://web.facebook.com/groups/634339891802644
🔗MY OTHERS CHANNELS:
https://www.youtube.com/@necworld55/featured
🔗FOLLOWME:
Facebook: https://web.facebook.com/mdnahid456
Instagram: https://www.instagram.com/md_nahid_prodhan/
Twitter: https://twitter.com/MdNahid28266504
Website: https://nahidec50.blogspot.com/
Website: https://necworld247.blogspot.com/
No comments